تیتر سه زیرسرویس
-
শিশুকে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দিন
জীবনের প্রারম্ভিক পর্যায়ে শিশু কৌতূহল ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই শেখে। তাই অভিভাবকদের উচিত নয় এই স্বাভাবিক শেখার প্রক্রিয়ায় অযথা হস্তক্ষেপ করা বা বাধা সৃষ্টি করা।
-
কেন আমাদের শিশুদের লালন–পালন টেকসই হয় না?
ভেতরের জগৎ আলোকিত না করে এবং ভালোবাসা সৃষ্টি না করে কেবল বাহ্যিক পরিবর্তন আনা স্থায়ী হয় না; লালন–পালন শুরু হতে হবে অস্তিত্বের গভীরতা ও আগ্রহ থেকে।
-
শিশুর চরিত্র ও নৈতিক গঠনে তার নামকরণের প্রভাব
নাম কেবল একটি শব্দ নয়; বরং তা সংস্কৃতি, পরিচয় ও বিশ্বাস বহনকারী একটি পাত্র। ইসলামি নামগুলো একা একা ঈমানের প্রমাণ না হলেও, সেগুলোকে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রতীক (চেতনা) হিসেবে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চেতনা ও প্রতীক হারিয়ে গেলে ধীরে ধীরে মূল পরিচয় ও মূল্যবোধও বিলুপ্ত হয়ে যায়।
-
পরিবার পরামর্শক হামিদেহ নিয়াজি:
স্বামীর সহায়তা মায়ের শান্তি ও পারিবারিক স্থিতি নিশ্চিত করে
মাশহাদে খোরাসান হাউজার সাংস্কৃতিক–প্রচার উপদফ্তরের অধীন পরিবার পরামর্শ কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ হামিদেহ নিয়াজি বলেন, মা–এর ভূমিকা পরিবারে অতুলনীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যা মনোবিজ্ঞান ও ইসলামি শিক্ষা উভয় ক্ষেত্রেই বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত।
-
আমার বড় ছেলে ছোট ভাইদের বিরক্ত করে— আমি কী করব?
যদি কোনো শিশু সত্যিই ভাইদের বা অন্যদের কষ্ট দিয়ে আনন্দ পায়, তবে তাকে ভয় দেখানো বা শাস্তি দেওয়া সাধারণত কোনো ফল দেয় না— বরং আচরণটি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এর বদলে দলগত খেলা, সৃজনশীল কার্যক্রম এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তার মনোযোগ ইতিবাচক দিকে ফিরিয়ে আনা বেশি কার্যকর।
-
যে ধরনের শিক্ষা উল্টো ফল বয়ে আনে
কারও চরিত্র গঠনের ক্ষেত্রে মূল শর্ত হলো—যাকে লালন-পালন বা গঠনমূলক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, তার ব্যক্তিত্বকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা। কারণ অকারণে সম্মান, অতিরিক্ত প্রশংসা বা বাড়াবাড়ি গুরুত্ব অনেক সময় বিপরীত ফল সৃষ্টি করতে পারে।
-
আজকের সমাজে সন্তান লালন-পালনে আমাদের দায়িত্ব কী?
বর্তমান সমাজে বাবা-মায়ের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো নিজেদের আচরণ, আচার-আচরণ ও জীবনধারাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা এবং এমন পরিবেশ নিশ্চিত করা যাতে সন্তানরা নৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিরাপদ থাকতে পারে। পরিবারিক শিক্ষার পাশাপাশি স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে হতে হবে একটি শক্তিশালী পরিপূরক মাধ্যম—যেখানে একাডেমিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নৈতিক ও ধর্মীয় ভিত্তি সুদৃঢ় হয়, এবং এর মাধ্যমে সন্তানের আধ্যাত্মিক ও চারিত্রিক বিকাশ নিশ্চিত হয়।
-
নারীরা সঠিক সন্তান লালন–পালনের মাধ্যমে ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিতে পারেন
বেগম বি-খাস্তাহ সন্তান প্রতিপালনে নারীদের কেন্দ্রীয় ভূমিকা তুলে ধরে বলেন: নারীরা সঠিক লালন–পালনের মাধ্যমে সমাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং তাঁদের মাঝে এমন ক্ষমতা রয়েছে যে তাঁরা ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করে দিতে পারেন।
-
সন্তানদের সামনে স্বামীকে অপমান করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
পশ্চিম আজারবাইজানের মহিলা হাওজায়ে ইলমিয়ার অধ্যাপিকা মিত্রা বেহরামি বলেছেন, সন্তানদের সামনে স্বামীকে হেয় করা বা অপমান করা কোনোভাবেই অনুমোদিত নয়। তিনি উল্লেখ করেন, হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) স্বামীকে ‘ইয়া আমীরুল মু’মিনীন’ সম্বোধন করতেন, যা দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা ও সম্মানের আদর্শ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
-
কর্মজীবী মায়েদের জন্য সন্তান লালনের বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনা
একজন মনোবিজ্ঞানী বলেছেন, কর্মজীবী মায়েদের জন্য সন্তানকে অন্যের তত্ত্বাবধানে রেখে কাজে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া একেবারেই স্বাভাবিক। তবে কিছু বাস্তবসম্মত উপায় আছে, যেগুলো অনুসরণ করলে তারা এই মানসিক চাপ সামলাতে পারবেন এবং নিজেদের মধ্যে “সন্তানকে অবহেলা করছি” — এমন অনুভূতির সৃষ্টি হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।